নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর ১৭নং ওয়ার্ডের আওয়ামালীগের সাধারন সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনিরের বিরুদ্ধে শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় রাজশাহী মেট্রোপলিটিন (আরএমপি) পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবিরের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ সূএে জানা গেছে, গত ১৮ আগস্ট সকাল বেলা ১০টার মধ্য শাহমখদুম থানাধীন মধ্য পারার বাসিন্দা শিক্ষক আব্দুল কালাম আজাদের বাড়ি সংলগ্ন রাস্তার পাশে লাগানে পুঁইশাক ও ফুলগাছটি সম্রাট ও সুজন নামে দুই জন ব্যক্তি হাসুয়া দিয়ে কেটে ফেলছে এ সময় তাদেরকে গাছ কেটে ফেলার কারন জানতে চাইলে তারা বলে কে পাঠিয়েছে তা ভালো করেই বুঝতে পারছিস বলে গালিগালাজ করতে করতে সব গাছগুলি কেটে ফেলে তারা।
সেই দিন বেলা সন্ধা ৬টার দিকে শিক্ষক আব্দুল কালাম আজাদ ও তার বাচ্চাকে নিয়ে ওষুধ কিনতে কেনার উদ্দেশ্য নওদাপাড়া বাজার মোড় জালাল ভ্যারাইটি ষ্টোর এর সামনে পৌছালে অভিযোগকারী শিক্ষক আব্দুল কালাম আজাদের পথ রোধ করে মনিরুজ্জামান মনি ও আমজাদ হোসেন সাথে তর্কে জড়াই ও উত্তেজিত হয়ে প্রথমে হাত দিয়ে,তারপর লাঠ দিয়ে মাথায়,কানে,ডান চোখে,দাঁতে ও বুকে ও ডান হাতের কবজিতে মারাত্বকভাবে আঘাত করে শিক্ষক আব্দুল কালাম আজাদকে গুরুত্বর জগম করে মনিরুজ্জামান মনি ও আমজাদ হোসেন।
এ সময় শিক্ষককে কিল ঘুষি মারতে মারতে মাঠিতে ফেলে দেয় আব্দুল কালাম আজাদ। তারপর শিক্ষক আতাইর রহমানের বাচ্চাকে নিয়ে গিয়ে আলাদা জায়গাই নিয়ে আটকিয়ে রাখে।
এ সময় শিক্ষক আতাইর রহমানকে মনির ও তার সহ কিছু ক্যাডার বাহিনি মারতে মারতে টেনে হিচড়েঁ তার ব্যক্তিগত চেম্বারে নিয়ে যায় এবং সেখানেই অশ্বীল ভাষায় গালিগালাজ করতে করতে কিল, ঘুষি, চর, থাপ্পর মারতে থাকে সে সময় শিক্ষককের কাছে থাকা পাঁচ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। পড়ে শিক্ষকের স্ত্রী খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে শিক্ষক আতাইর রহমান ও তার বাচ্চাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসাপাতালে নিয়ে যায় ।
এ বিষয়ে শাহমখদুম থানার এসআই রাব্বানী বলেন,ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করা হয়েছে শিক্ষক আতাইর রহমানের বাসার জায়গায় বাউন্ডারি দিয়ে রেখেছেন। বাউন্ডারি সামনে ১২ফিট ২ ইঞ্চি রাস্তার উপর পুঁইশাক ও ফুলগাছটি লাগিয়েছিলেন সেই গাছগুলো সেখান থেকে সড়িয়ে নেওয়া হয়। মারধরের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মারধরের বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।