নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী মহানগর ১৭নং ওয়ার্ড আওয়ামালীগের সাধারন সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনিরের বিরুদ্ধে শিক্ষক আতাইর রহমানকে মারধর ও চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় রাজশাহী মেট্রোপলিটিন (আরএমপি) পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবিরের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।এর আগেও বাজার কমিটির সাধারন সম্পাদক আওয়ামীলীগের নেতা সাত্তারকে জনসম্মুখে বার বার লাঞ্ছিত করাসহ অনেক ব্যক্তিদেরকে লাঞ্ছিত করেছেন মনিরুজ্জামান মনির।
জানা গেছে, বিদ্যার গন্ডিতে বেশিদূর না পাড় করতে পারলেও কুকর্ম চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, নারী ও মাদক (গাজা, ফেন্সিডাইল, ইয়াবা, চোয়ানি) ব্যবসা সহ বিভিন্ন অপকর্মের গন্ডি পাড় করে বহু টাকার মালিক বনে গেছে এ আওয়ামিলীগ নেতা।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, সংসার অসচ্ছল থাকার দরুন পড়া লেখা স্কুল জীবনেই ছেড়ে রাজশাহী রেলগেটে অবস্হিত মটর সাইকেল ম্যাকারের হেল্পার ও পরে মবিলের দোকানের সেলস্ ম্যান হিসেবে কর্মরত ছিল। এক বড় রাজনৈতিক নেতার ছত্র ছায়ায় আসে।সেখান থেকে তার অবস্থানের পরিবর্তন ঘটতে থাকে।
শুরুতে বিএনপির ১৭ নাম্বার ওয়ার্ডের সভাপতি আব্দুল মতিন এর ক্যাডার l তার পরিবারের সকল সদস্য ক্রাইম এর সাথে জরিত থাকার অভিযোগ মিলেছে। চার ভাইয়ের মধ্যে বড় মনিরুজ্জামান মনি। তার মেজো ভাই মানিকের নামে বাংলাদেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। সরকারি বাহিনী (পুলিশ ও RAB) এর পোশাক পরিধান অবস্থায় ছিনতাই ডাকাতি কালে প্রশাসনের কাছে বহুবার ধরা খেয়েছে।
বিভিন্ন অপকর্মে একাধিক সাধারন মামলাসহ রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা রয়েছে এবং বহুবার মাসের পড় মাস জেল হাজত ও খেঠেছে। সে নারী দ্বারা ব্যাকমেইল করে অনেকের কাছ থেকে বহু টাকা জোর পূর্বক মার ধোর করে ছিনিয়ে নিয়েছে।
সেজো ভাই রতন বড় ভাইয়ের প্রভাব দেখিয়ে মাড়ামাড়ি, নতুন নির্মাধীন বাড়িতে চাদা দাবি সহ বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে। বর্তমান সে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনে কর্মরত রয়েছে। সেখান থেকে বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।
নওদাপাড়ার বিভিন্ন এলাকায় ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে নারী ব্যবসা পরিচালিত হচ্ছে। এসকল এলাকার নারী ব্যবসার মূল হোতাই হচ্ছে এ আওয়ামিলীগ নেতা মনিরুজ্জামান মনি। তারই ছত্র ছায়ায় এই সকল নারী ব্যবসা পরিচালিত হচ্ছে এবং আস্তে আস্তে এটা ভয়ঙ্কর রূপে পরিবর্ধিত হচ্ছে।
এলাকার মানুষ প্রতিহত করলে সে তাদেরকে বিভিন্ন রকম ভয় প্রদর্শন করে থামিয়ে দেয়। এলাকার মানুষ পুলিশের কাছে অভিযোগ করলেও পুলিশ কোন উদ্যোগ নেয় না। এই নেতার সাথে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তার চেম্বারে সব সময় আসা-যাওয়া করে। সে মানুষজনকে ভয় দেখিয়ে বলেও বেড়ায় প্রশাসন আমার পকেটে থাকে সবসময়। পকেট থেকে বের করলে প্রশাসন দ্বারা সবকিছু করাতে পারবে সে সুতরাং কেউ কিচ্ছু করতে পারবে না।
এলাকার বিএনপির নেতা মতিনের বাঁশঝাড়ের ভিতরে ঈদগাহের সামনে হিন্দু পাড়ায় প্রকাশ্যে চোয়ানির ব্যবসা হিন্দুদেরকে দিয়ে করাচ্ছে এ আওয়ামিলীগ নেতা। মানুষজন বাধা দিলে মনিরের ক্যাডার বাহিনী তাদেরকে বিভিন্ন ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে এমন কি মারধর করে তাড়িয়ে দেয়।
এছাড়াও এই আওয়ামীলীগ নেতার বিরুদ্ধে বাজারের অনেক দোকানদারের মালামাল নিয়ে মূল্য পরিশোধ না করার অভিযোগও রয়েছে। মনি সহ তার ক্যাডার সম্রাট এ সকল দোকান থেকে মালামাল নিয়ে যায় টাকা পরিশোধ বিহীন। দোকানদার গন টাকা চাইতে গেলে বিভিন্ন ধরনের অজুহাত দিয়ে বছরের পড় বছর ঘোরাচ্ছে। তার বিরুদ্ধে কোন কিছু বলতে গেলে অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে লাঞ্চিত হতে হবে এই ভয়ে অনেকে কিছু বলে না।
নওদাপাড়া বাজারের অনেক দোকানদার বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাত্তারের কাছে বিচার চাইলে বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাত্তার এ বিষয়ে বলতে গেলে তাকে হুমকি ধামকি দিয়ে লাঞ্ছিত করে এ নেতা। এমনকি তার ক্যাডার বাহিনী দিয়ে তাকে জনসম্মুখে মারধর করে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে।
বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক কিছু না করতে পারায় এলাকাবাসীর মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করলেও ভয়ে প্রকাশ্যে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়না।
এমনকি নওদাপাড়া হামিদপুর স্কুলের মার্কেটের দ্বিতীয় তলার প্রায় সব দোকানই তার দখলে।সেখানে এ নেতা তার নিজস্ব সম্পত্তি মনে করে চেম্বার দিয়েছে এবং তার পাশে একটি টর্চার সেলও বানিয়েছে যেখানে মানুষজনকে নিয়ে এসে বিভিন্ন রকম ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে তার কার্য হাসিল করে।
প্রয়োজনে সে সেখানে নির্যাতন চালায়। তার চেম্বারে পাশেই সে নিজে আমি লীগের নেতা হয়েও বিএনপির বড় বড় ক্যাডার ও নেতাদের নির্ভয়া আশ্রয়স্থল বানিয়ে দিয়েছে, সেখানে তারা ক্যারাম খেলে সব সময়।
এসকল বিএনপির’ ক্যাডার নেতারা পেট্রোল বোমাসহ বিভিন্ন মামলার আসামি হয়েও এ আওয়ামীলীগের নেতার ছত্রছায়ায তারা রয়েছে। গত ১৮ ই আগষ্ট সে একজন প্রফেসরকে তার কার্যোদ্ধার ও পূর্বের ক্ষোভ (প্রফেসর বাড়ি নির্মাণ করার সময় প্রফেসরের নিকট থেকে মনিরুজ্জামান মনি মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে চাদাদিতে তিনি অস্বীকৃতি জানানন এবং স্থানীয় কাউন্সিলরসহসহ অন্যান্য অনেককে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত করেন, এর জন্য মনিরের মনের ভিতরে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়) মেটানোর জন্য টর্চার সেলে নিয়ে এসে নির্যাতন করে। এ সময় প্রফেসরের ৫ বছরের বাচ্চাকে আটকিয়ে রেখে কার্য হাসিল করার জন্য চেষ্টা চালায়।
প্রফেসর মুক্ত হয়ে তার অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে শাস্তির দাবিতে সৎ সাহস নিয়ে সুষ্ঠু বিচারের জন্য আবেদন করে। প্রফেসরের সাহসিকতা দেখে অনেকে নিজেদের জুলুম অন্যায় হওয়া ভুক্তভোগী মানুষগন আস্তে আস্তে তাদের সাথে ঘটে যাওয়া অন্যায় গুলো ভয় কাটিয়ে বলতে শুরু করেছে। আজ এ সকল নেতার কারণে আওয়ামীলীগ দল আজ প্রশ্নবিদ্ধ? এই সকল হাইব্রিড বয়লার নেতাদের কারনে আওয়ালীগ দলের মধ্যে ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়েছে।
মন থেকে বিএনপি ভাবাপন্ন হওয়ার দরুন এ নেতা বিএনপির লোকজনদের নিয়ে ক্যাডার বাহিনী গঠন করেছে। এ সকল বিএনপির দালালরা বিভিন্ন অপকর্মের সাথে লিপ্ত রয়েছে ইয়াবা,গাঁজা,ফেন্সিডাইলসহ বিভিন্ন নেশা জাতীয় ব্যবসা পরিচালিত করছে।
তাদের মাথার ছাদ হিসেবে রয়েছে এ রাজনৈতিক নেতা। নেশা জাতীয় দ্রব্যের মাধ্যমে তারা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত করছে তরুণ সমাজকে। এলাকার সাধারণ জনগণ থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তার বিচারের আবেদন করছে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে।