আন্তর্জাতকি ডেস্ক: নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে হামলা চালিয়ে বাংলাদেশিসহ ৫১ জনকে হত্যার দায়ে ব্রেন্টন ট্যারেন্টকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি আদালত। চারদিনের শুনানি শেষে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার(২৭ আগস্ট) এ আদেশ দেয়া হয়। ২৯ বছর বয়সী এ আসামি ৫১ জনকে নির্বিচারে হত্যার দায়ে দোষী স্বাব্যস্ত হন। এছাড়া আরও ৪০ জনকে হত্যা চেষ্টাসহ তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ আনা হয়েছে।
৫১টি হত্যা, ৪০টি হত্যাচেষ্টা ও ভাঙচুরসহ মোট ৯২টি মামলায় দায় স্বীকার করেছেন ট্যারেন্ট।রায়ে ট্যারেন্টের কৃতকর্মকে ‘অমানবিক’ ও ‘ক্ষমার অযোগ্য’ হিসেবে অভিহিত করেছেন বিচারক। নিউজিল্যান্ডে এই প্রথম কাউকে এ ধরণের শাস্তি দেয়া হলো।
আদেশে বিচারক ক্যামেরন মেন্ডার বলেন, ঘটনায় নিউজিল্যান্ডের হৃদয়ে প্রচুর ক্ষত ও আঘাত তৈরি হয়েছে। অমানবিকভাবে নির্দ্বিধায় মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে ট্যারেন্ট।ঠান্ডা মাথায় ভেবেচিন্তে ৩ বছর বয়সী শিশুকেও হত্যা করেছেন তিনি, যে তার বাবার পা জড়িয়ে ধরেছিল।প্যারোলের সুযোগ পাবেন না ট্যারেন্ট।
এরআগে চারদিনের শুনানিতে আদালতে বক্তব্য রাখেন, হামলায় নিহতদের স্বজনরা। গত বছরের ১৫ মার্চ ক্রাইস্টচার্চের আল নুর মসজিদ ও লিনউই ইসলামিক সেন্টারে হামলা চালায় ট্যারেন্ট। ফেসবুকে হামলার লাইভও করে সে। আটকের পর ট্যারেন্ট দোষ স্বীকার করে বলেন, হামলার পর মসজিদ দুটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা ছিল তার। এ ঘটনার পর অস্ত্র আইনে বড় পরিবর্তন আনে নিউজিল্যান্ড।