দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমই’র সদস্যভুক্ত ১০৫টি কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। এতে কাজ হারিয়েছে প্রায় ৫০ হাজার শ্রমিক। বিজিএমইএ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তবে শ্রমিক সংগঠনগুলো বলছে, দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসা শ্রমিকদের করোনার অজুহাতে চাকুরিচুত্যির মাধ্যমে সার্ভিস বেনিফিট থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে, যা ছিল খুবই অমানবিক। বিভিন্ন কারখানায় এখন আবার নতুন করে নিয়োগ শুরু হয়েছে। কাজ হারানো বহু শ্রমিক নগরীতে ফিরতে শুরু করছেন। আর মালিকপক্ষ বলছে, এখনো তাদের জন্য টিকে থাকাটাই কষ্টের। নতুন করে নিয়োগ এখনো তেমনভাবে শুরু হয়নি।
বিজিএমইএ জানিয়েছে, করোনার পর তাদের সদস্যভুক্ত ১০৫টি কারখানা বন্ধ হয়েছে। এতে কাজ হারিয়েছে ৪৮ হাজার ৪৮৯ জন শ্রমিক। বন্ধ হওয়া কিছু কারখানা হলো— উইংস গার্মেন্টস অ্যান্ড টেক্সটাইলস লিমিটেড, গ্রীণল্যান্ড গার্মেন্টস লিমিটেড, কামটেক্স লিমিটেড, সান চেরি বডি ফ্যাশন লিমিটেড, অ্যাফকো আবেদিন গার্মেন্টস লিমিটেড, ববি নিট ফ্যাশন লিমিটেড, ডাউন জিএমটিএস অ্যান্ড টেক্সটাইল লিমিটেড, জিডিএম ওয়েরাস লিমিটেড, গুড ডে অ্যাপারেলস লিমিটেড, গুড ডে গাইস লিমিটেড, এমএপি নীটওয়্যার লিমিটেড, ম্যানশিন কো (বিডি) লিমিটেড, রেডওয়ান টেক্স অ্যাপারেলস লিমিটেড, শান্তা গার্মেন্টস লিমিটেড, স্যার ডেনিম লিমিটেড, সুপারটেক্স অ্যাপারেলস লিমিটেড, ট্যাক্স টেইলর অ্যাপারেলস লিমিটেড, ইয়াকুব ফ্যাশন লিমিটেড, অল ওয়েদার ফ্যাশন লিমিটেড, ব্রাইট অ্যাপারেল লিমিটেড, মিস্তিয়া সোয়েটার লিমিটেড, স্পিডওয়েল ফ্যাশন লিমিটেড, স্পটফেইম অ্যাপারেলস লিমিটেড, স্টিচ রাইট লিমিটেড, জেইন অ্যাপারেলস লিমিটেড, এএমসি নীট কম্পোজিট লিমিটেড।
বিজিএমইএ’র পরিচালক (শ্রম) রেজওয়ান সেলিম বলেন, করোনা শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ১০৫টি কারখানা বন্ধ হয়েছে। গত দুই-তিন মাসে এই কারখানাগুলো বন্ধ হয়েছে।
এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি ও বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, কারখানাগুলো মূলত করোনার কারণেই বন্ধ হয়েছে। করোনায় তো সবার অর্ডার কমে গেছে। ছোট কারখানাগুলোর টিকে থাকা দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকেই আছে যারা বায়িং হাউজের অর্ডারের মাধ্যমে চলে। তাদের তো এখন অর্ডার নেই। সবারই এখন কাজ কম। তাই কিছু কারখানা বন্ধ হয়েছে।
তবে ভিন্ন তথ্য দিচ্ছেন গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার। তিনি বলেন, সব কারখানা যে বন্ধ হয়েছে, তা ঠিক নয়। ছোট ছোট কিছু কারখানা হয়তো বন্ধ হয়েছে। তবে অনকে কারখানাই স্থানান্তরিত হয়েছে। তারা হয়তো আরও বড় আকারে কারখানা চালু করেছে।