নিজস্ব প্রতিবেদক: সাম্প্রতিক সময়ে দেশে নতুন বিপদ দেখা দিয়েছে। নদীগুলোতে স্বাভাবিকের চেয়ে অধিক উচ্চতায় জোয়ার প্রতিবাহিত হচ্ছে। এতে উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে সমুদ্রের লোনা পানি প্রবেশ করছে। অনেক এলাকায় তলিয়ে গেছে জোয়ারের পানিতে। আরও চার থেকে পাঁচ দিন জোয়ারের পানি উপকূলীয় অঞ্চলগুলোয় প্রবেশ করতে পারে।
এ বিষয়ে শনিবার (২৩ আগস্ট) আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আরও চার থেকে পাঁচ দিন জোয়ারের পানি উপকূলীয় জেলায় ঢুকবে। এরপর থেকে পানি কমতে থাকবে।’
কবে নাগাদ স্থলভাগ থেকে জোয়ারের পানি সরে যেতে পারে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা আসলে বলা মুশকিল। এখন যে বৃষ্টিপাত হচ্ছে, এটা যখন থাকবে না, তারপর থেকে হয় তো স্বাভাবিক হয়ে যাবে। তবে আগে যে বন্যা হয়েছিল, সেটা আর জোয়ার এক নয়।’
কেন জোয়ারের পানি উপকূলীয় এলাকায় প্রবেশ করছে- জানতে চাইলে মনোয়ার আহমেদ বলেন, ‘এখন ভারতের মধ্যপ্রদেশে একটা সুস্পষ্ট লঘুচাপ বিরাজ করছে এবং বিভিন্ন জায়গায় যে বৃষ্টিপাত হচ্ছে, তার ফলেই এরকম অবস্থা।’
এ দিকে আজ সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, সক্রিয় মৌসুমি বায়ু ও ভারী বৃষ্টির কারণে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং এসব জেলার অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চলে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১ থেকে ২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হতে পারে।
গত কয়েক দিন ধরেই এমন পূর্বাভাস দিয়ে আসছে আবহাওয়া অফিস।
পূর্বাভাসে আবহাওয়া অফিস আরও বলেছে, উত্তর বঙ্গোপসাগরে মৌসুমি বায়ু সক্রিয় রয়েছে এবং গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরের ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতেও বলেছে আবহাওয়া অফিস।